শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: যে কোনো ধরনের বড় জনসমাগম বা গ্যাদারিং এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বড় গ্যাদারিং এড়িয়ে চলব, অ্যাভয়েড করব যতদূর সম্ভব, সেটাই (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশনা।’স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো, যেহেতু এটা ছোঁয়াচে রোগ, তাই তিন স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা যেন আতঙ্কিত না হই। প্রটোকল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনোভাবে যাতে ছড়াতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেওয়া হয়েছে।’তিনি জানান, করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও বলেন, ‘ম্যাস গ্যাদারিং অ্যাভয়েড করতে হবে।’তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত নয়, পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে বাস্তবায়ন কমিটির সভা হবে। সেই সভার পর সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।করোনা আতঙ্কে জিনিসপত্রের দাম বাড়া প্রসঙ্গে আনোয়ারুল বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এ রোগ মোকাবিলায় মাস্ক পরার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এটি ছোঁয়াচে রোগ।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর রবিবার এক ব্রিফিংয়ে দেশে প্রথমবারের মতো তিনজনের নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করে। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ সম্প্রতি ইতালির দুটি শহর থেকে দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে এসে পরিবারের আরেক নারী সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই স্থিতিশীল এবং তিনজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।আইইডিসিআর ওই তথ্য জানানোর পর রাতে সরকারের তরফ থেকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করার ঘোষণা আসে। জানানো হয়, ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের মূল অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে, সেদিন ছোট আকারে সীমিত পরিসরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। মূল অনুষ্ঠান পরে কখনো হবে।